স্বাদে ও গুণে ভরপুর কাজুবাদাম। কাজুবাদামে উচ্চ প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, জিঙ্ক, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম ও খনিজ উপাদান রয়েছে, যা শরীর সুস্থ করতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কাজুবাদামে উপস্থিত ভিটামিন ই অ্যান্টি-এজিংয়ের কাজ করে। এ ছাড়া মেটাবলিজম ভালো রাখতে ও হৃদরোগ দূর করে কাজু। কাজুবাদামের নানা উপকারিতার কথা চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কোষের ক্ষয় রোধ করে :
কাজুবাদামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপস্থিত। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে উপস্থিত ফ্রি র্যাডিকেল দেহের ক্ষতি কম করে। পলিফেনল ও ক্যারোটিনয়েড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের গুরুত্বপূর্ণ উৎস কাজুবাদাম। কাজুবাদামে ক্যালরির পরিমাণ কম। ২০১৭ সালের একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে যারা নিয়মিত কাজুবাদাম খান, অন্যদের তুলনায় তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কাজুবাদাম প্রোটিন, ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের ভালো উৎস। এর ফলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় :
আমাদের শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে, এলডিএল এবং এইচডিএল। এই এলডিএল খারাপ কোলেস্টেরল এবং এইচডিএল ভালো কোলেস্টেরল। এলডিএলের পরিমাণ বাড়লে ধমনিতে মেদ জমে এবং হার্ট অ্যাটাক ও হৃদরোগের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। ২০১৭ সালে \’আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন\’-এ প্রকাশিত গবেষণার রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে কাজুবাদাম এলডিএলের স্তর কম করে। আবার ২০১৮-র ‘জার্নাল অব নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, কাজুবাদাম খেলে এইচডিএলের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে।
রক্তচাপ কম করে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক জনসংখ্যাই উচ্চ রক্তচাপের শিকার। একটি সমীক্ষা থেকে জানা গেছে যে কাজুবাদাম উচ্চ রক্তচাপ কম করে। এতে সোডিয়াম কম থাকে এবং পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে উপযুক্ত পরিমাণে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ট্রাইগ্লিসারাইডের স্তর কম করতে সাহায্য করে কাজুবাদাম। এই ট্রাইগ্লিসারাইড স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক হৃদরোগের অন্যতম কারণ। তবে লবণযুক্ত কাজুবাদাম এড়াতে হবে। এতে হিতে বিপরীত হবে।
রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে
ডায়াবেটিস থাকলে নিজের খাদ্যতালিকায় কাজুবাদাম অন্তর্ভুক্ত করুন। ২০০৯ সালে ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম’-এ প্রকাশিত সমীক্ষা অনুযায়ী, টাইপ ২-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত যেসব রোগী কাজুবাদাম থেকে ১০ শতাংশ ক্যালরি গ্রহণ করেছিলেন, তাদের ইনসুলিনের পরিমাণ অন্যদের তুলনায় কম ছিল। এতে উপস্থিত ফাইবার ধীরে ধীরে রক্তে গ্লুকোজ নিঃসরণ করে।
হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে :
২০০৭-এ, ‘ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, সপ্তাহে চারবারের বেশি কাজুবাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত। আবার ২০১৮ সালের ‘জার্নাল অব নিউট্রিশন’-এর সমীক্ষা অনুযায়ী ১২ সপ্তাহ লবণ ছাড়া ৩০ গ্রাম কাজুবাদাম খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। কাজুবাদাম মনো আনস্যাচুরেটেড এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিডের উল্লেখযোগ্য উৎস, যা এলডিএলের পরিমাণ কম করে।
হাড় মজবুত করে
হাড় মজবুত করতেও সাহায্য করে কাজু। এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম থাকে। ক্যালশিয়ামের মতো ম্যাগনেশিয়ামও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য খাদ্যতালিকায় কাজু অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
জাম্বু কাজুবাদাম
বাজারের বাছাই করা সেরা বাদামগুলো আমরা সংগ্রহ করে সরাসরি নিজের তত্ত্বাবধানে ভেজে প্যাকিং করে থাকি।
যার ফলে আমাদের বাদাম গুলো থাকে গুণগত মানের দিক থেকে সেরা।
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বাদাম বাজারের অন্য যেকোন বাদামের চেয়ে গুণগত মানের দিক থেকে ভালো কোয়ালিটি পাবেন ইনশাআল্লাহ