শিশুর খাবারের সাথে খাঁটি ঘি রাখা কেন জরুরী

আপনার শিশুর খাবারের সাথে খাঁটি ঘি রাখা কেন জরুরী জানতে হলে পুরা লিখাটি আপনার জন্য ।

খাঁটি ঘি চিনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ প্রাচীনকাল থেকে ঘি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে আজকাল সবাই অনেক স্বাস্থ্যসচেতন যার ফলে ফ্যাটের ভয়ে বাচ্চাদের ঘি খাওয়ানো এক প্রকার বন্ধই করে দিয়েছে। অনেকেই জানেন না বাচ্চাদের ঘি খাওয়া তাদের পরিপূর্ণ বিকাশে সাহায্য করে। তাই শিশুর সুস্থ সবল দেহ গঠনে ঘি খুবই প্রয়োজনীয়। চলুন তাহলে জেনে নেই, শিশুর সুস্বাস্থ্য গঠনে ঘি কতখানি দরকারি এবং কি পরিমানে ঘি খাওয়ানো উচিত।

যেসব কারনে বাচ্চাদের খাঁটি ঘি খাওয়াবেনঃ

১। ঘি চর্বির একটি উৎস এবং দৈহিক শক্তির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য ঘি খাওয়ানো খুবই উপকারী।

২। ছোট বেলা থেকে শিশুর খাবারের সাথে খাঁটি ঘি খাওয়ালে শিশুর প্রাকৃতিক চর্বি, এনার্জির সঠিক গ্রোথ এবং মানসিক বিকাশে সহায়তা করে । সাধারনত জন্মের সময়ের ওজন ১ বছরে তিনগুন হয় এটাই স্বাভাবিক। কাজেই ৬ মাসের পর থেকে বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবারে একটু খাঁটি ঘি শিশুর সঠিক ওজন ধরে রাখতে সাহায্য করে।

৩। একটি শিশু জন্মের পর তার প্রথম ১ বছর শিশুর মস্তিক গঠনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। আর শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে ৬০% তৈরি হয় ফ্যাট থেকেই। Docosahexaenoic acid (DHA) এক ধরনের হেলদি ফ্যাট যা ব্রেন গ্রোথ এবং ডেভেলপমেন্টের জন্য দায়ি।

একটি রিসার্চে পাওয়া গেছে যে বাড়িতে তৈরি করা ঘিতে প্রচুর পরিমানে DHA বিদ্যমান থাকে। তাই খাবারে ঘি যোগ করে শিশুর ব্রেন ডেভেলপমেন্ট প্রসেসকে বুস্ট করবে। শুধু তাই নয় এই ডিএইচএ ব্রেন ডেভেলপমেন্টের সাথে সাথে চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে।

৪। ১ গ্রাম ঘিতে ৯  পরিমান ক্যালোরি থাকে। তাই শিশুর খাবারে ঘি মিশিয়ে খাওয়ালে শিশুর গ্রোথ রেট হাই থাকে এবং শিশু একটিভ থাকে।

 

৫। ঘিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যার ফলে আপনার শিশুর খাদ্যে ঘি যোগ করে খাওয়ালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৬।  ঘি ভিটামিনে থাকা দ্রবণীয় চর্বি শোষণ করতে সাহায্য করে। যদি খাবারে সাথে খাঁটি ঘি যোগ করা হয় তবে শিশু সহজে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে শোষণ করতে পারে। এই ভিটামিন পরিপূর্ণ শোষণের ফলে শিশুর হেলদি গ্রোথ ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি ইমিউন সিস্টেমকে বুস্ট করে ঘি।

আপনার সোনামণির জন্য কতটুকু দরকার খাঁটি ঘি খাওয়া ?

১। বাচ্চার বয়স এবং ওজনের উপর নির্ভর করে দৈনন্দিন খাবারের সাথে ঘি খাওয়াতে হবে। অনেকে ৬ মাসের আগে থেকেই বাচ্চার খাবারে ঘি দিয়ে থাকেন। তবে এত অল্প বয়সে হজমে বাচ্চাদের একটু সমস্যা হয় তাই কমপক্ষে ৬ মাস বয়স থেকে দেয়া উত্তম। দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার দেয়ার দিন থেকেই একটু একটু ঘি দেয়া শুরু করুন।

কেননা এই সময় থেকে বাচ্চা বসা, হামাগুড়ি এবং হাঁটার চেষ্টা করে, কাজেই ক্যালোরি খরচ করার অবস্থায় আসে। তাই প্রথমে খিচুড়ির সাথে কয়েক ফোঁটা দিয়ে অভ্যস্ত করুন এরপর ধীরে ধীরে পরিমান বাড়াতে থাকুন। আপনার সোনামণি যদি আন্ডার ওয়েট হয়ে থাকে তবে বেশী পরিমানে দিন। আর যদি ওভার ওয়েট হয়ে থাকে তবে ঘির পরিমাণটা কমিয়ে দিন।

 ১০০% দানাদার শাহী ঘি

২।  বাড়িতে ৮ মাসের বাচ্চা থাকলে শুরু করুন ১ চা চামচ ঘি দিয়ে। এরপর গ্রাজুয়ালি ৩ – ৪ চা চামচ করে ঘি দিন। পরিমান হুট করে বাড়িয়ে দিবেন না। ধীরে ধীরে বাড়ান এবং ওজনের দিকে খেয়াল রাখুন। কেননা ওভারওয়েট হয়ে গেলে ঘি এর পরিমান কমিয়ে দিতে হবে।

৩। মাল্টিপাল হেলথ বেনিফিটের জন্য ঘি একটি দারুণ উৎস হতে পারে। বাড়ন্ত শিশুর খাদ্যের সাথে সীমিত পরিমাণ ঘি যোগ করা তার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে অতিরিক্ত কোন কিছুই শুভ ফল বয়ে আনে না এই কথাটি ঘি’র বেলায়ও শতভাগ প্রযোজ্য। যদি শিশু ওজনে ভারসাম্য আনতে গিয়ে বেশী পরিমানে ঘি খাইয়ে ফেলেন তবে ঘি এর উপকারিতার থেকে অপকারিতাই বেশী হবে।

 

আশা করি বুঝতেই পারছেন শিশুর খাবারের সাথে খাঁটি ঘি রাখা কতটা জরুরী। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে খাঁটি ঘি কোথায় পাবো? আপনার পুরো পরিবারের জন্য খাঁটি ঘি সংগ্রহ করতে পারেন আমাদের কাছ থেকে । আমরা আপনাকে  ১০০% দানাদার খাঁটি গাওয়া ঘি এর নিশ্চয়তা দিতে পারবো । আপনি চাইলে নিশ্চিন্তে য়ামাদের শাহী বাজার এর ঘি এর ওপর আস্থা রাখতে পারেন ।

লেখাটি শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিবেন

Shopping Cart
Scroll to Top