প্রাচীনকাল থেকে আমরা ঘি কে পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে আসছি । অনেকেই আছেন যে কোনো ধরণের মজাদার খাবার রান্না করতে ঘি ব্যবহার করে থাকেন। যেমন: বিরিয়ানী , কাচ্চি , খিচুড়ি ইত্যাদি । কেউ কেউ আবার ভর্তা ভাতে ঘি খেতে পছন্দ করে । সুস্বাদু এবং মজাদার খাবার রান্নায় খাটি ঘি এর ব্যবহার যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।
ঘি এর বিশেষ কিছু উপকারিতা
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
প্রতিদিন খালি পেটে ঘি খাওয়া শুরু করলে শরীর ভিতর থেকে শক্তিশালী হয়ে ওঠে, সেই সঙ্গে ত্বকের ভেতরে কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যায়। তাই ত্বকের সৌন্দর্যও বাড়ে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ঘিয়ের অন্দরে মজুত মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড, শরীরে জমে থাকা ফ্যাট সেলের গলাতে শুরু করে।
কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
নিয়মিত ঘি খাওয়া শুরু করলে কোষেদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে দেহের সচলতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে রোগভাগের আশঙ্কাও যায় কমে। শুধু তাই নয়, নতুন কোষেদের জন্ম যাতে ঠিক মতো হয়, ঘি সেদিকেও খেয়াল রাখে ।
ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়
মস্তিষ্কের সচলতা বজায় রাখতে উপকারি ফ্যাটের প্রয়োজন পরে। আর যেমনটা আপনারা ইতিমধ্যেই জেনে ফেলেছেন যে ঘিয়ে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যাসেনশিয়াল ফ্যাট, যা ব্রেন সেলের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ঘিয়ে উপস্থিত প্রোটিন, নিউরোট্রান্সমিটাররা যাতে ঠিক মতো কাজ করতে পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিশক্তির বিকাশ ঘটতে সময় লাগে না।
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
খালি পেটে ঘি খেলে শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলকে একেবারে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ফলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায় ।
আর্থ্রাইটিস দূরে থাকে
খালি পেটে ঘি খাওয়া শুরু করলে শরীরে বিশেষ কিছু উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা একদিকে যেমন জয়েন্টের সচলতাকে বাড়িয়ে তোলে, তেমনি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি যাতে না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে আর্থ্রাইটিস ও হাড়ের যেকোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। ঘিয়ে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা শরীরের গঠনে নানাভাবে ভূমিকা পালন
তাই আপনার ও আপনার পরিবারের প্রতিদিনের খাবারে রাখুন খাটি গাওয়া ঘি
